Monday, December 14, 2015

শিক্ষনীয় গল্প

1...... আশা নামের আলোটি কে কখনোই নিভতে দেওয়া উচিৎ নয়



একটি রুমের ভেতরে চারটি মোমবাতি জ্বলছিলো। মোমবাতি গুলো একে অপরের সাথে তাদের নিজস্ব ভাষায় কথা বলা শুরু করলো। প্রথম মোমবাতি টি বললো, 'আমি শান্তি। কেউ আমাকে জ্বালিয়ে রাখতে পারবেনা। আমি এখন নিভে যাবো।' তারপর সেটি নিভে গেলো।
.
দ্বিতীয় মোমবাতি টি বললো, 'আমি বিশ্বাস। শান্তি যেহেতু নেই, তাই আমার আর জ্বলতে থাকার কোনো প্রয়োজন দেখছিনা। আমি এখন এখন নিভে যাবো'। কথা শেষ করার পর দ্বিতীয় মোমবাতি টি নিভে গেলো।
.
তৃতীয় মোমবাতি এবার মুখ খুললো, আমি ভালবাসা। শান্তি এবং বিশ্বাস কেউ নেই, তাই আমারো বেশিক্ষণ জ্বলার মত শক্তি নেই। মানুষেরা আমাকে গুরুত্ব না দিয়ে একপাশে সরিয়ে রাখে। শুধু তাই না, ওরা প্রিয় মানুষ গুলোকে পর্যন্ত ভুলে যায়।" কথা শেষ করে তৃতীয় মোমবাতি টিও নিভে গেলো।
.
কিছুক্ষণ পর রুমের মধ্যে একটি বাচ্চা প্রবেশ করলো, তিনটা নিভে যাওয়া মোমবাতির পাশে টিমটিমে জ্বলতে থাকা চতুর্থ মোমবাতি দেখে বাচ্চা টি প্রশ্ন ছুড়ে দিলো, তোমরা জ্বলছো না কেন?
.
তোমাদের পুরোপুরি শেষ না হওয়া পর্যন্ত জ্বলা উচিৎ ছিলো। তারপর
বাচ্চা টি কাঁদতে শুরু করলো। এবার চার নম্বর মোমবাতি টি মুখ খোলে। 'ভয় পেয়ো না। আমি যতক্ষণ জ্বলছি, তুমি চাইলেই আমাকে দিয়ে আবারো বাকি মোমবাতি গুলোকে জ্বালাতে পারো। আমার নাম আশা। "বাচ্চা টি আশা নামের মোমবাতি টি দিয়ে একে একে বাকি মোমবাতি গুলোকে আবারো জ্বালালো। সমস্ত রুমটা আবারো উজ্জ্বল আলোতে আলোকিত হয়ে উঠলো।

গল্পটি রূপক কিন্তু হাজারো হতাশা, দুঃখ আর সমস্যার অন্ধকারে ডুবে গিয়ে আশা নামের আলোটি কে কখনোই নিভতে দেওয়া
উচিৎ নয়। কারন আশা না থাকলে আমাদের জীবন থেকে শান্তি, বিশ্বাস এবং ভালবাসাও অন্ধকারে হারিয়ে যাবে।


2....জীবন পাথর নুড়ি আর বালির সমন্বয়ের একটা জটিল উদাহরন



একদিন এক দর্শনের শিক্ষক ক্লাশে আসলেন কতগুলো জিনিস নিয়ে এবং জিনিসগুলো তার সামনের টেবিলের উপর রাখলেন। যখন ক্লাশ শুরু হল, তিনি হাতে একটা বড় জার নিলেন এবং এটাকে পাথর দিয়ে ভরতে শুরু করলেন। তারপর তার ছাত্রদের জিজ্ঞাসা করলেন জারটি পূর্ণ কিনা, ছাত্ররা উত্তরে বললো হ্যা। এরপর তিনি কিছু নুড়ি পাথর নিয়ে জারটিতে ঢাললেন, তিনি যখন জারটি হাল্কা করে ঝাঁকালেন তখন নুড়ি পাথরগুলো বড়ো পাথরগূলোর ফাঁকে জায়গা করে নিলো। তিনি আবার তার ছাত্রদের জিজ্ঞাসা করলেন জারটি পূর্ণ কিনা, ছাত্ররা উত্তরে বললো হ্যা। তারপর তিনি এক বাক্স বালি নিয়ে জারটিতে ঢেলে দিলেন, বালিগুলো জারের সমস্ত খালি জায়গা পূর্ণ করে ফেললো। তিনি আরও একবার তার ছাত্রদের জিজ্ঞাসা করলেন জারটি পূর্ণ কিনা, ছাত্ররা এবারো উত্তরে বললো হ্যা।


এরপর তিনি ছাত্রদেরকে বললেন, "এখন, আমি চাই তোমরা মনে করো যে জারটি তোমাদের জীবন। বড়ো পাথরগুলো হচ্ছে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলো - তোমার পরিবার, জীবনসঙ্গী, তোমার স্বাস্থ্য, তোমার বাচ্চারা। তোমার জীবন থেকে যদি এরা ছাড়া অন্য সবকিছু হারিয়ে যায়, তবুও তোমার জীবন পূর্ণ থাকবে। নুড়ি পাথরগুলো হচ্ছে - তোমার ঘর-বাড়ি, চাকরী ইত্যাদি। আর বালি হচ্ছে তোমার জীবনের অন্য সব ছোট ছোট জিনিসগুলো।
তুমি যদি জারটিতে প্রথমে শুধু বালি ভরতে তাহলে পাথর আর নুড়ি পাথরগুলোর জন্যে কোন জায়গা থাকতো না। একইভাবে, তুমি যদি তোমার সবশক্তি ছোট ছোট জিনিসগুলোর পিছনে খরচ করে ফেলো, তবে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলোর খেয়াল ই রাখতে পারবে না। তাই তুমি প্রথমে তোমার পরিবারকে সময় দাও, তারপর অন্যকিছু। 




3..........এক ছোট পাখির কাহিনী







একটি ছোট পাখি আকাশের অনেক উপর দিয়ে উড়তে গিয়ে ঠান্ডায় জমে বরফ হয়ে ধপ করে এসে পড়লো একটা খোলা মাঠে। 

পাশেই একটা গরু দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ঘাস চিবাচ্ছিল। সে কোৎ করে এক দলা গোবর হেগে দিল পাখিটার উপর। 

পাখিটা গোবরে ডুবে গেলেও সদ্য পতিত গোবরের গরমে তার শরীরের বরফ সব গলা শুরু করলো।

একটু পরে পাখিটা সুস্থ হয়ে গোবরের ভেতরে বসেই কিচমিচ কিচমিচ ডাক শুরু করলো।
www.rupkonna.com.... শিক্ষনীয় গল্প...

পাশ দিয়ে যাচ্ছিলো এক হুলো বেড়াল। সে পাখির আওয়াজ পেয়ে গোবর ঘেঁটে পাখিটাকে বের করলো। তারপর কপাৎ করে গিলে ফেলল।


মর্মার্থ - ১: কারো শত্রুতা মূলক কাজ সব সময় যে তোমার বিপক্ষে যাবে এমন নাও হতে পারে। কোন কোন বৈরী কাজ হয়তো তোমার উপাকারেই আসবে।
মর্মার্থ - ২: কেউ তোমাকে বিপদ থেকে উদ্ধার করলো মানেই যে সে তোমার শুভাকাঙ্খি এমন নাও হতে পারে। সে হয়তো তোমার সবচেয়ে বড় শত্রু।

মর্মার্থ - ৩ : যখন তুমি ঘোর বিপদে তখন দয়াকরে মুখটা বন্ধ রাখো / when you are in deep shit please keep your mouth shut!!





4 comments:

  1. সত্যিই অসাধারণ হয়ছে



    আমাদের দুইটি সাইটে আপনি,
    Comment BackLink করতে চাইলে
    করতে পারেন !
    আমার সাইটের নাম

    www.webangali.com


    www.bd-express.top

    ReplyDelete